একরামুল হক, স্টাফ রিপোর্টার।।
কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসন ও র্যাব -১৫ এর যৌথ অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী মাহে রমজান উপলক্ষে পণ্য এবং বিভিন্ন শপিং মলে বাজার দর পর্যবেক্ষণে ভ্রাম্যমান আদালতে আব্বাজান পাঞ্জাবি এন্ড সেরোয়ানি ও মেগামার্টকে জরিমানা করা হয়েছে।
২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) শারমিন সুলতানা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কক্সবাজার সদর থানাধীন বাজার ঘাটা এলাকায় আব্বাজান পাঞ্জাবী এন্ড সেরোয়ানী এবং মেগামার্ট এর মালিক মো: জাহাঙ্গীর আলম ও জহিরুল ইসলাম’কে ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে যথাক্রমে দশ হাজার (১০,০০০) টাকা ও পাচ হাজার (৫০০০) টাকা করে মোট (১৫,০০০) পনের হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে র্যাব-১৫ এর টিম এবং বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) শারমিন সুলতানা বলেন, রমজানে বাজার মনিটরিংয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ভোক্তার ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়েছে। গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করার সুযোগ নেই, উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে অত্যন্ত তৎপর।
এদিকে মেগামার্টের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ইন্ডিয়ান পোশাক বলে গ্রাহকদের নয়ছয় বুঝিয়ে বাংলাদেশি পোশাক বেশি দামে বিক্রি করছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানটি রীতিমতো গলাকাটা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। প্রতিদিন র্যাফেল ড্র’র আয়োজন করে কাস্টমারদের মনোযোগ আকর্ষণ করে অতিরিক্ত দামে বিভিন্ন পোশাক বিক্রির মতো গুরুতর অপরাধ করে আসছে।
ভুক্তভোগী রেজা নামে ক্রেতা জানান, মেগামার্টে কাপড় কিনতে আসছিলাম, কিন্তু যে কাপড় মেগামার্টে ৫ হাজার ঐ কাপড় বাইরের দোকানে ২ থেকে আড়াই হাজার।এবার চিন্তা করেন কতো টাকা ব্যবধান। পোশাকের কোয়ালিটি কিন্তু সেইম। ঐ দোকানে মধ্যবিত্ত এবং গরীবের কোন জায়গা নেই। বাহারি পোশাকের আলিশান দাম। এব্যাপারে প্রশাসনের তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। শুনলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে, কিন্তু জরিমানার পরিমাণ খুবই সামান্য।
অতিদ্রুত যে সকল প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে তাদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।