
সিবিসি নিউজ রিপোর্ট :
কক্সবাজার আসার পথে বুধবার সকালে লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১০ জনের একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক তানিফা আহমেদ।
তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিরপুর মডেল থানার সহ-মুখপাত্র ছিলেন।
ঈদের ছুটিতে মামা রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বুধবার চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আসার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তানিফা।
বুধবার সকালে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় বাস–মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় তনিফার মামা ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৪৮), মামী লুৎফুন নাহার (৩৭), মামাতো বোন আনিশা আক্তার (১৪) ও লিয়ানা (৮) নিহত হন। আরেক মামাতো বোন তাসনিমা ইসলাম প্রেমা গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি আছেন চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে।
বুধবার (২ এপ্রিল) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক তানিফা আহমেদ।
উমামা ফাতেমা তার বার্তায় উল্লেখ করেন, তানিফা আহমেদ ছাত্র আন্দোলনের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিত ছিলেন এবং তিনি সবসময় নিষ্ঠার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করতেন। তার অকাল মৃত্যু সংগঠনটির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে তার আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উমামা ফাতেমা জানান, তানিফা শুধু আন্দোলনের একজন নেতা ছিলেন না; বরং তিনি বিশ্বাস ও আদর্শের জন্য কাজ করে গেছেন।
এই শোকাবহ মুহূর্তে, তিনি আল্লাহর কাছে তানিফার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার জন্য জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম কামনা করেন।
এ দুর্ঘটনায় তানিফার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে সংগঠনটি তার সহকর্মীদের শোকসন্তপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।