
স্টাফ রিপোর্টার।।
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের
চন্দ্রিমা এলাকাস্থ বখতিয়ারঘোনাতে স্বামী-স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে আহত করার ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়। যার মামলা নং-১২। ওই মামলার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে দুই আসামী শ্বশুর-জামাইকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তবে পলাতক থাকা অন্য আসামী বাদী পরিবারকে মামলা আপস করার জন্য হুমকি অব্যহত রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলা না নামালে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানান মামলার বাদী মো.শাহ আলম।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার সদর আদালতে আসামীরা জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক জামিন নামন্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ছুরিকাঘাতে আহতরা হলেন-কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের চন্দ্রিমা এলাকাস্থ বখতিয়ারঘোনা এলাকার মোহাম্মদ শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী মাফিয়া আক্তার। আহত মোহাম্মদ রাসেল ‘ইশান মটরস’ রামু শো-রুমের মেকানিক। গত ৩ মার্চ (সোমবার) দুপুরে ঝিলংজা ইউনিয়নের চন্দ্রিমা এলাকাস্থ বখতিয়ার ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, গত ৬ মার্চ তিনজনকে আসামীকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা রুজু হয়। ওই মামলার আসামীরা হলেন-ঝিলংজা ইউনিয়নের চন্দ্রিমা এলাকাস্থ বখতিয়ার ঘোনা এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে জয়নাল আবেদীন ও তার ছেলে মোহাম্মদ ফাহিম এবং জামাতা মোহাম্মদ রফিক।
মামলার বাদী শাহআলম জানায়, কক্সবাজার সদর মডেল থানার দায়ের মামলার আসামী শ্বশুর-জামাই আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কিন্তু পলাতক আসামী সন্ত্রাসী মোহাম্মদ ফাহিম পলাতক রয়েছে। পলাতক থেকে মামলা আপসের চাপ দিচ্ছে এবং মামলা আপস না করলে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। মামলার বাদী শাহআলম চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে দাবী করেন এবং পলাতক আসামীকে আটক করতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, মামলার বাদীকে হুমকি দিয়ে আসামীর পার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাকে আটক করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীগ্রই তাকে আটক করা হবে।