০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

কক্সবাজারে রির্সোটে এক নারী পর্যটকের রহস্য জনক মৃত্যু, মামলা নিচ্ছেন পুলিশ!

মরদেহ পড়ে আছে মর্গে…

স্টাফ রিপোর্টার।।

কক্সবাজার শহরে সী ওয়েলকাম রিসোর্ট কক্ষে পর্যটন নারী হত্যার ঘটনাকে অপমৃত্যু মামলা করতে অসহায় পিতাকে পুলিশের চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ই এপ্রিল রাতের কোন এক সময় ওই রিসোর্টের তৃতীয় তলায় ৩০২ নাম্বার কক্ষে নুরানা আক্তার লিমা নামে এক পর্যটক নারীকে পরিকল্পিত হত্যা কান্ডটি ঘটে। নিহত নুরানা আক্তার লিমা দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার খোড়া খাই সরদার পাড়া গ্রামের নুর আলমের মেয়ে।

৯ই এপ্রিল সকালে রিসোর্ট কতৃপক্ষের সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এঘটনায় মোঃ নাছির উদ্দিন সবুজ ও ফারিয়া আলম (২৬) নামে ২ জনকে ৯ই এপ্রিল আটক করলেও অনেক নাটকীয়তার পর ১০ এপ্রিল দুইজনকে ৫৪ ধারা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে, আদালত এদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার খোড়া খাই সরদার পাড়ার নুর আলমের মেয়ে।
নিহতের পিতা নুর আলম জানান তার মেয়ে নুরানা আক্তার লিমা (৩১) দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা সায়দাবাদ সুপার মার্কেট ২ তলায় রেল গেট এলাকার রাফসান ট্যুর এন্ড ট্রাভেল বিডি এর মালিক মোঃ নাসির উদ্দিন সবুজের কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
রাফসান ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস বিডি এর মালিক মোঃ নাসির উদ্দিন সবুজ, বিভিন্ন সময় তার মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক সৃষ্টি করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় তার মেয়ে নুরানা আক্তার লিমা তার ছোট ভাই মোঃ আব্দুর রউফ লিমন ও মা মোছাঃ এসমোতারার সাথে কথোপকথনের সময় উক্ত মোঃ নাসির উদ্দিন সবুজ সম্পর্কে অপকর্মের কথা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও জানান, রাফসান ট্যুর এন্ড ট্রাভেলসের মালিক সবুজ বিভিন্ন ব্যক্তিদের সহায়তায়, অসহায় লিমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে। এরই মাঝে সবুজ ও তার সহযোগী গাজীপুরের ফারিয়া আলমসহ কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে এলাকার সি ওয়েলকাম রিসোর্ট এর তৃতীয় তলায় ৩০২ নাম্বার কক্ষে কয়েকদিন ধরে অবস্থান করে। সেখানেও তার মেয়ে লিমাকে মানসিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে তার মেয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে
নাসির উদ্দিন সবুজ সহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা গত ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১১ টা হতে আনুমানিক রাত ১২টার মধ্যে যেকোনো সময় আঘাত করে কিংবা শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
নিহতের পিতা নুর আলম আরও জানান, তার মেয়েকে হত্যার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য তাকে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলাইয়া রাখে। পরদিন
গত ০৯ এপ্রিল সকালে রিসোর্ট কতৃপ।ঝহহহঃক্ষের খবরের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
নিহতের পিতা বলেন, আমি কক্কক্সবাজার এসে জানতে পারি, আমার মেয়ে বর্তমান কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে আছে। আমার মেয়েকে মর্গে গিয়ে সনাক্ত করার পর মেয়েকে হত্যাকারী মোঃ নাসির উদ্দিন সবুজ সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলাইয়া রাখে। আমার মেয়ে ঘটনার পূর্বে তার নিজ মোবাইল দিয়ে ছোট ভাই মোঃ আব্দুর রউফ মা মোছাঃ এসমোতারা বেগম এর সাথে কথা বলে, উক্ত হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে ও কর্মচারীগণ ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করলে সঠিক তথ্য প্রকাশ হবে।

এঘটনায় এজাহার নিয়ে থানায় গেলে ঘটনায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। এমন কি অপমৃত্যু মামলা করতে থানা থেকে চাপ দেওয়া অভিযোগও তুকেন তিনি।

এদিকে, কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ ৯ই এপ্রিল মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার শিবালয় গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাফসান ট্যুর এন্ড ট্রাভেল বিডি এর মালিক মোঃ নাছির উদ্দিন সবুজ ও গাজীপুর জেলার গাজীপুর ডুবি হায়দ্রাবাদ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ফারিয়া আলমকে আটক করে। কিন্তু ৯ই এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল বিকাল পর্যন্ত ঘটনাটি ধামাচাপা দেয় কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে আটক ২ জনকে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। কক্সবাজার সদর আদালতে পুলিশ পরিদর্শক জানিয়েছেন, ২ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। নিহত নিমার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। অসহায় বাবা নুর আলম প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াছ খানা জানান এব্যাপারে থানায় মামলা হচ্ছে।

 

 

 

জনপ্রিয়

কক্সবাজার সৈকতে ভ্রাম্যমান হকারদের উৎপাতে অতিষ্ঠ পর্যটকরা

কক্সবাজারে রির্সোটে এক নারী পর্যটকের রহস্য জনক মৃত্যু, মামলা নিচ্ছেন পুলিশ!

০৩:০৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

মরদেহ পড়ে আছে মর্গে…

স্টাফ রিপোর্টার।।

কক্সবাজার শহরে সী ওয়েলকাম রিসোর্ট কক্ষে পর্যটন নারী হত্যার ঘটনাকে অপমৃত্যু মামলা করতে অসহায় পিতাকে পুলিশের চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ই এপ্রিল রাতের কোন এক সময় ওই রিসোর্টের তৃতীয় তলায় ৩০২ নাম্বার কক্ষে নুরানা আক্তার লিমা নামে এক পর্যটক নারীকে পরিকল্পিত হত্যা কান্ডটি ঘটে। নিহত নুরানা আক্তার লিমা দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার খোড়া খাই সরদার পাড়া গ্রামের নুর আলমের মেয়ে।

৯ই এপ্রিল সকালে রিসোর্ট কতৃপক্ষের সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এঘটনায় মোঃ নাছির উদ্দিন সবুজ ও ফারিয়া আলম (২৬) নামে ২ জনকে ৯ই এপ্রিল আটক করলেও অনেক নাটকীয়তার পর ১০ এপ্রিল দুইজনকে ৫৪ ধারা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে, আদালত এদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার খোড়া খাই সরদার পাড়ার নুর আলমের মেয়ে।
নিহতের পিতা নুর আলম জানান তার মেয়ে নুরানা আক্তার লিমা (৩১) দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা সায়দাবাদ সুপার মার্কেট ২ তলায় রেল গেট এলাকার রাফসান ট্যুর এন্ড ট্রাভেল বিডি এর মালিক মোঃ নাসির উদ্দিন সবুজের কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
রাফসান ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস বিডি এর মালিক মোঃ নাসির উদ্দিন সবুজ, বিভিন্ন সময় তার মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক সৃষ্টি করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় তার মেয়ে নুরানা আক্তার লিমা তার ছোট ভাই মোঃ আব্দুর রউফ লিমন ও মা মোছাঃ এসমোতারার সাথে কথোপকথনের সময় উক্ত মোঃ নাসির উদ্দিন সবুজ সম্পর্কে অপকর্মের কথা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও জানান, রাফসান ট্যুর এন্ড ট্রাভেলসের মালিক সবুজ বিভিন্ন ব্যক্তিদের সহায়তায়, অসহায় লিমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে। এরই মাঝে সবুজ ও তার সহযোগী গাজীপুরের ফারিয়া আলমসহ কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে এলাকার সি ওয়েলকাম রিসোর্ট এর তৃতীয় তলায় ৩০২ নাম্বার কক্ষে কয়েকদিন ধরে অবস্থান করে। সেখানেও তার মেয়ে লিমাকে মানসিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে তার মেয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে
নাসির উদ্দিন সবুজ সহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা গত ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১১ টা হতে আনুমানিক রাত ১২টার মধ্যে যেকোনো সময় আঘাত করে কিংবা শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
নিহতের পিতা নুর আলম আরও জানান, তার মেয়েকে হত্যার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য তাকে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলাইয়া রাখে। পরদিন
গত ০৯ এপ্রিল সকালে রিসোর্ট কতৃপ।ঝহহহঃক্ষের খবরের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
নিহতের পিতা বলেন, আমি কক্কক্সবাজার এসে জানতে পারি, আমার মেয়ে বর্তমান কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে আছে। আমার মেয়েকে মর্গে গিয়ে সনাক্ত করার পর মেয়েকে হত্যাকারী মোঃ নাসির উদ্দিন সবুজ সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলাইয়া রাখে। আমার মেয়ে ঘটনার পূর্বে তার নিজ মোবাইল দিয়ে ছোট ভাই মোঃ আব্দুর রউফ মা মোছাঃ এসমোতারা বেগম এর সাথে কথা বলে, উক্ত হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে ও কর্মচারীগণ ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করলে সঠিক তথ্য প্রকাশ হবে।

এঘটনায় এজাহার নিয়ে থানায় গেলে ঘটনায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। এমন কি অপমৃত্যু মামলা করতে থানা থেকে চাপ দেওয়া অভিযোগও তুকেন তিনি।

এদিকে, কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ ৯ই এপ্রিল মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার শিবালয় গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাফসান ট্যুর এন্ড ট্রাভেল বিডি এর মালিক মোঃ নাছির উদ্দিন সবুজ ও গাজীপুর জেলার গাজীপুর ডুবি হায়দ্রাবাদ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ফারিয়া আলমকে আটক করে। কিন্তু ৯ই এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল বিকাল পর্যন্ত ঘটনাটি ধামাচাপা দেয় কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে আটক ২ জনকে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। কক্সবাজার সদর আদালতে পুলিশ পরিদর্শক জানিয়েছেন, ২ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। নিহত নিমার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। অসহায় বাবা নুর আলম প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াছ খানা জানান এব্যাপারে থানায় মামলা হচ্ছে।