মিরাট পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের রিমান্ড চাইবে।
২০১৬ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন মুসকান ও নৌ-কর্মকর্তা সৌরভ। তাদের ছয় বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই সৌরভের পরিবারের সঙ্গে মুসকানের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর ফলে সৌরভ স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন।
২০১৯ সালে মুসকান ও তার বন্ধুর মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন সৌরভ। এর প্রেক্ষিতে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
সৌরভ নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর তিনি দু’বছর ধরে লন্ডনে কাজ করছিলেন। গত মাসে মেয়ের জন্মদিন উদযাপন করতে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ মার্চ মুসকান সৌরভের ওপর মাদক প্রয়োগ করেন। পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন এবং দেহকে ১৫টি টুকরোয় বিভক্ত করেন। এরপর সেগুলো একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়।
হত্যার পর প্রেমিক সাহিলকে নিয়ে মানালি ঘুরতে যান মুসকান। সেখান থেকে তারা সৌরভের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। পরবর্তীতে মুসকান তার পিতামাতার কাছে স্বীকার করেন যে, সাহিলের সঙ্গে মিলে তিনি সৌরভকে হত্যা করেছেন।
এই ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং মুসকান ও সাহিলকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তারা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন এবং পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি চলমান রয়েছে।