
মো. একরামুল হক, স্টাফ রিপোর্টার।।
বাঙালির শেকড়ের প্রস্ফুটিত উৎসব পহেলা বৈশাখ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে উদযাপিত হয়েছে। ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে বিদায় ও ১৪৩২ বঙ্গাব্দে বরণে জেলাব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। পহেলা বৈশাখকে ঘিরে পর্যটকের উপস্থিতিও বেড়েছে সৈকতের নগরীতে।
সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরী ঐতিহ্যবাহি দৌলত ময়দানের বটতলে গানে-গানে শুরু হয় বৈশাখ উদযাপনের অনুষ্ঠান। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের পরিবেশনা করতে থাকে। সেখানে চলে পিঠাপুলি উৎসব।
সকাল ৮ টায় সৈকতের সী গাল পয়েন্ট থেকে বের করা হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।
বিশ্বব্যাপী শান্তির আহবানে আয়োজিত শোভাযাত্রাটি
লাবণী পয়েন্ট এসে শেষ হয়। যেখানে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ সালাহ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সাইফ উদ্দীন শাহীন সহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে লাবণী পয়েন্টে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। যেখানে গান, নৃত্য, কবিতায় বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নববর্ষ। সেখানে পর্যটক সহ স্থানীয় দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল লক্ষনীয়।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।
এবারে বর্ষবরঙ কক্সবাজারে করতে পেরে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা।
গরমের তীব্রতা বাড়ালেও কক্সবাজারে পর্যটকের উপস্থিতি কমছিল না। পর্যটকদের আনন্দ দিতে এবং বর্ষবরণে পর্যটকদের সামিল করতে তারকা মানের হোটেল সায়মান সহ হোটেল গুলোতেও ছিল মেহেদী উৎসব, পিঠাপুলি, বাউল গানসহ নানা আয়োজন।
পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণে আমাদের দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। ১৪ এপ্রিল ভোরে যন্ত্র সংগীতের মাধ্যমে নতুন বর্ষ ১৪৩২ বরণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
কক্সবাজারে বর্ষবরণে রাখাইনেরাও নৃত্য, গান ও র্যালীতে অংশ নেন। এছাড়াও বৌদ্ধ স্নানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৭দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান মালা।
অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নাচ, গান, আবৃত্তি, নৃত্য পরিবেশন করেছে।
বর্ষবরণ ঘিরে শহরের বিশেষ বিশেষ স্থানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পোশাকধারী সদস্যর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দায়িত্ব পালনে রয়েছে।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে
বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল,আনন্দ শোভাযাত্রা,গান,কবিতা আবৃত্তি,নৃত্য ও আলোচনা সভা।
সোমবার ভোরে চকরিয়া থানা সেন্টার থেকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।শোভাযাত্রায় ঐতিহাসিক এবং নানা পশু পাখি ভাস্কর্য শোভা পায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন,নতুন বছর সকলের জন্য বয়ে আনুক সুখ শান্তি সমৃদ্ধি।
ভক্সপপ-আতিকুর রহমান
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চকরিয়া।
পরে ইউএনও পান্তা ইলিশ খাবারের উদ্ধোধন করেন। এবং আগত সবাইকে পান্তা ইলিশে খাবার পরিবেশন করা হয়।
বৈশাখের অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার ভূমি মো;এরফান উদ্দিন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও নানা পেশার মানুষ অংশ নেয়।
এছাড়া টেকনাফ, উখিয়া, রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈশাখের নানা আয়োজন ছিল।